• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

পরিবেশ কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৩:০৭ এএম

পরিবেশ কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে পাহাড় নিধন ও পরিবেশ রক্ষা কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ১০টি পরিবেশ সংগঠন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সংবিধানের ১৮ ক ধারায় রাষ্ট্রকে বর্তমান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কথা বলা হয়েছে। যে মানুষটি উন্নত বিশ্বের বিলাসী জীবন ফেলে খাগড়াছড়ির গভীর জঙ্গলে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কাজ করছে তার ওপর ধারাবাহিক হামলা হচ্ছে। মানুষ তার মা-ভাই-সন্তানকে ভালোবাসে।

কজন মানুষ আছে যারা রাস্তার কুকুরকে ভালোবাসে, কয়জন মানুষ আছে যে বনের শিয়াল-হরিণকে নিয়ে চিন্তা করে। বন্য পশুপাখির প্রতি নিঃস্বার্থ এই ভালোবাসা আমাদের সমাজের মানুষ কেমন সেটাই আমাদের জানতে শেখায়-বুঝতে শেখায়। পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করেন, বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন। তাদের ওপর আঘাত মানে জাতীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত।’

তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ির মাহফুজ রাসেলের ওপর যারা হামলা করেছে সেই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না কেন। আমরা দেখি মাঝরাতে সাংবাদিকদের কোমরে দড়ি দেয়া হয়। পরিবেশ রক্ষাকারীদের হামলার বিষয়ে অপরাধীদের নাম ধরে অভিযোগ করার পরও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা কেন। আমরা কি একটি মূল্যবোধহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। তা হতে পারে না। এই জাতির মূল্যবোধ হবে সহযোগিতার-সহমর্মিতার। বাঙালি জাতির মূল্যবোধ হবে সহমর্মিতার, সংবেদনশীলতার। আমাদের দেশে দুষ্টের দমন হতে হবে, শিষ্টের পালন করতে হবে। আমরা উল্টো দেখছি। যারা পরিবেশ রক্ষাকারীদের মারছে তাদের মধ্যে খাগড়াছড়ির বন বিভাগের লোকজনের হাত আছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

রেজওয়ানা হাসান বলেন, খাগড়াছড়ির রাসেলসহ সব পরিবেশ কর্মীকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দিতে হবে, রাসেলকে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, আজকে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ করছি, ভবিষ্যতে খাগড়াছড়ির বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।’


সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক বলেন, জেলা প্রশাসন পরিবেশ অধিদফতর সিটি কর্পোরেশন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কাজ করলেই পাহাড় নদী কাল রক্ষা করা সম্ভব। চট্টগ্রাম পাহাড় রক্ষায় বেলা হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট মামলার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তা বাস্তবায়ন করা হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি ২০০৭ সালে শক্তিশালী পাহাড় রক্ষা কমিটির প্রদত্ত সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করে পাহাড়সুমারি ও পাহাড়ের ধরণ অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, অগ্নিবীণা পাঠাগার, গ্রীণ ফিঙ্গারস, পরিবেশ ফোরাম ৮৮ সেইভ দ্যা নেচার, বাংলাদেশ ওয়াইল্ড ওয়াচ, স্নেইক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ, পুকুর রক্ষা আন্দোলন।


এডিএস/

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ