প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২১, ০৬:২৬ পিএম
দশম শ্রেণিতে পড়ে
সাদিয়া (ছদ্মনাম)। কৌশলে তার
সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই
উপজেলার শরিফুল ইসলাম নূর (২৬)।
রোববার
(২৭ জুন) স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট
দিতে বাড়ি থেকে বের
হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ
সময় কৌশলে তাকে সোনাইমুড়ী বাজারের
একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় শরিফুল।
সেখানে ওই ছাত্রীকে নিজের
স্ত্রী পরিচয়ে রুম ভাড়া নেয়
এ যুবক। ওই হোটেলের ম্যানেজারের
সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে ভাড়া নেয়া রুমে
ধর্ষণ করে শরিফুল।
ধর্ষণের
সময় ওই স্কুলছাত্রীর রক্তক্ষরণ
হয়। এতে ঘাবড়ে যায়
শরিফুল। পরে রাত ৯টার
দিকে ওই ম্যানেজারের সহযোগিতায়
১৬ বছর বয়সী ওই
স্কুলছাত্রীকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে প্রেমিক শরিফুল।
এরপর সেখান থেকে পালিয়ে তারা।
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশে খবর
দেয়া হয়। পুলিশ এসে
ওই স্কুলছাত্রীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ওই
মেয়ের রক্তশূন্যতা দেখা দিলে সোনাইমুড়ী
থানার ওসি ও এক
এসআই রক্ত দেন।
এ
ঘটনায় ধর্ষক শরিফুল ও হোটেল ম্যানেজার
দ্বীন মোহাম্মদকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত
শরিফুল চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
অন্যদিকে দ্বীন মোহাম্মদ সোনাইমুড়ী উপজেলার থানুয়াই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার ভোরে সোনাইমুড়ী নদনা
এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নূরকে আটক করা হয়েছে।
রাতেই ওই হোটেল থেকে
ম্যানেজারকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে
মামলা করেছেন।’
নোয়াখালী
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল
আজিম বলেন, ‘ওই ছাত্রীর অপারেশন
সম্পন্ন হয়েছে। সে এখন পোস্ট
অপারেটিভ সেন্টারে আছে।’
এ
দিকে আহত স্কুলছাত্রীকে বাঁচাতে
হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক রক্ত
দেয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে
ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর পরিবারও।
মামুন/এম. জামান