প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ১২:৪৮ এএম
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্মশানে পোড়ানো হচ্ছিল ঠাকুর মার লাশ। একই সময়ে নাতনি নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ঘেরের পাড়ে নিয়ে ধ র্ষ ণ চে ষ্টা র অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধ র্ষ ণে র চেষ্টাকারী অভিযুক্ত দুই সন্তানের জনক। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায়।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের এক বৃদ্ধা (৮৫) বুধবার দুপুরে মারা যান। তার লাশ রাতে পোড়ানোর সময় ওই বাড়ির সবাই যখন দাহ কাজে ব্যস্ত ছিলেন; তখন মৃত বৃদ্ধার নাতনি স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে মায়ের মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে লাশ পোড়ানোর স্থানে যাচ্ছিল। পথে একই এলাকার রমনী হালদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক বখাটে রতন হালদার ওই ছাত্রীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। ওই স্কুলছাত্রী মোবাইল ফিরে পাওয়ার জন্য বখাটে রতন হালদারের পিছু পিছু যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর ছাত্রীর হাত ও মুখ চেপে ধরে একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে বুধবার রাত ৮টায় ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রতন।
এ সময় ওই ছাত্রীর বসতঘরের উপর কে বা কারা ডিল ছুড়লে ছাত্রীর বাবা ও ভাই উচ্চস্বরে গালমন্দ করলে ধর্ষণের চেষ্টাকারী রতন হালদার পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ওই ছাত্রীর পরিবারকে জানালে বাবা, মা, ভাই লাঠিসোটা নিয়ে রতন হালদারের ঘরে তাকে খুঁজতে থাকে। টের পেয়ে রতন ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
এর আগেও বখাটে রতনের বিরুদ্ধে একটি ধ র্ষ ণ মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এছাড়াও বাজারের দোকান চুরির অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা জানতে পেরে আগৈলঝাড়া থানার এসআই আলী হোসেন বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত রতন হালদার পালিয়ে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে রতন হালদারের স্ত্রী সুলতা হালদার বলেন, আমি আমার স্বামী রতন হালদারের ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা শুনেছি। ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা লাঠিসোটা নিয়ে ঘরে রতনকে খুঁজতে থাকে। তিনি কোথায় আছেন বলতে পারি না।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা রের্কড করা হবে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
বিএস/