প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ১২:৩৩ এএম
বিধবা ও ভূমিহীন লাইলী বেগম ‘মুজিব শতবর্ষে’ প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ভূমিহীনদের ঘর’ কিংবা বিধবা ভাতা পাননি। তিনি বাস করেন সরকারি রাস্তার পাশে।
লাইলী বেগমের স্বামী আব্দুল কদ্দুছ ছিলেন ভূমিহীন হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রি। থাকতেন উপজেলা ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বামনহাটা কালীমন্দিরের পশ্চিমে সরকারি রাস্তার পাশে। একটি মাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র ছেলে সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকেন।
লাইলীর স্বামী আব্দুল কদ্দুছ মারা গেছেন প্রায় ১০ বছর আগে। সেই থেকে সড়কের ওপরে স্বামীর ঘরটি আঁকড়ে ধরে অতিকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। শারীরিক অসুস্থ থাকলে, কাজে যেতে না পারলে অনাহারে থাকতে হয় তাকে।
লাইলী বেগম বলেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে আমি কিছু দিন ছেলের শ্বশুরবাড়ি আছিলাম। তহনই সেখানে সিরাজগঞ্জ সদর জেলার সয়াশেখা গ্রামে পরিচয়পত্র কইরা দেয় পোলায়। সেখানে বেশি দিন থাকতে না পেরে আবার ভূঞাপুরের বামনহাটা বাজার ও কালীমন্দিরের পাশে সড়কের ওপর স্বামীর পরিত্যক্ত ঘরটিতে বসবাস করে আসছি। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার গেলেও এখানকার ভোটার না হওয়ার কারণে আমাকে কোনো সাহায্য দেয় না। আবার ওইখানে গেলে বলে, আপনি এখানে থাকেন না।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, ওই নারী আমাদের কাছে আসলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ঘর এবং বিধবা ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
বিএস/