• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুদকে অভিযোগকারীকে মারধরের মামলায় রেজাউল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ০৪:০১ পিএম

দুদকে অভিযোগকারীকে মারধরের মামলায় রেজাউল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শরীয়তপুর কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী এস্কান্দার ঢালীর ওপর হামলাকারী রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদারের ম্যানেজার রেজাউলকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এস্কান্দার ঢালীর ওপর হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে রেজাউল করিমকে প্রেমতলার বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে পালং মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত শুক্রবার মামলার ৬ নম্বর আসামি মোস্তাফিজুর রহমান তাপসকে শরীয়তপুর পৌরসভার বাঘিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এস্কান্দার ঢালীর গাড়ি থামিয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার পশ্চিম কোটাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাঁচা রাস্তায় নিয়ে আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদারের ভাই কবির চৌকিদারসহ ১০-১২ জন ব্যক্তি হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এস্কান্দার ঢালীর পা ভেঙে দেয়। হামলার ঘটনায় পালং মডেল থানায় শুক্রবার ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে মামলা করেছেন আহত এস্কান্দার ঢালী।

এস্কান্দার ঢালী শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এস্কান্দার ঢালী অপারেশন থিয়েটারে থাকায় মুঠোফোনে তার স্ত্রী সুমি বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামীর অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তার তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখেন প্রায় সময়ই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করায় যারা আমার স্বামীকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় আমি খুশি। কিন্তু ফারুক চৌকিদার, কবীর চৌকিদারসহ মামলার মূল আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারে নাই আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। আমি মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আবেদন জানাই। দেশবাসীর কাছে আমি আমার স্বামীর জন্য দোয়া ও ন্যায় বিচার চাই।


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ মনির হোসেন শরীয়তপুর কারাগারে জেল হাজতে বাস করছেন গত শুক্রবার থেকে। এখন পর্যন্ত তিনি আইনজীবী নিয়োগ করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান মাসুম।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান তাপসকে গ্রেপ্তার করে আগেই জেল হাজতে পাঠিয়েছি। আজ রাতে রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার মূল আসামিরা পালাতক রয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের চৌকস টিম কাজ করছে।


এডিএস/

আর্কাইভ