প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ০২:২৩ এএম
-20230410142352.jpg)
ফেসবুকে প্রেমের সূত্র ধরে দাগনভূঞার তরুণী বিয়ের দাবিতে ফেনীর পরশুরামের কাতার প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে গত ছয় দিন ধরে অবস্থান করছেন। এদিকে প্রেমিকার আসার খবর শুনেই পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক।
পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মালিপাথর গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. ওমর ফারুকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওমর ফারুক ওই গ্রামের আলি আকবরের ছেলে।
ওই তরুণী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত এক বছর ধরে কাতারে থাকা অবস্থায় ফেসবুকের মাধ্যমে মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় প্রতিদিন ইমুতে রাতভর এবং দিনকে দিন কথা হতো ওমরের সঙ্গে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় ওমর। প্রবাসী ওমর দেশে এসে ফেনীতে দেখাও করেন। কিন্তু বাড়িতে তার পরিবার এই তরুণীকে বিয়ে করাতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি জানান, ওমরকে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য পাত্রী দেখছেন এ খবর তরুণীকে ওমর জানালে তিনি ওমরের বাড়িতে ছুটে আসেন। প্রেমিকা তরুণী আসার খবরে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোস্তফার উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে। এতে মীমাংসা না হওয়ায় ওই তরুণী প্রেমিক ফারুকের বসত বাড়িতে ঢুকে যান। এ সময় ফারুকের পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণী এই বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে তিনি রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সালিশি বৈঠক করেন। ওমর ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে সপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বর্তমানে ওই তরুণী একা ওমরের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি ইউপি সদস্য মো. মোস্তফার কাছ থেকে শুনে অবস্থান করা তরুণীর নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন। বর্তমানে ওমর ও তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ওমরের খোঁজ পেলে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি তিনি পরশুরাম থানার ওসিকে অবহিত করেছেন।
পরশুরাম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এখন পর্যন্ত তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএস/
-20230410132154.jpg)
