• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম, একজনের কবজি বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:৫৫ এএম

তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম, একজনের কবজি বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফরিদপুরে খালাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ভাইয়ের হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ভাজনডাঙ্গী গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত তিন ভাই হলেন- ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা তারা ফকিরের ছেলে মোহসিন ফকির (৪৫), মজনু ফকির (৩৫) ও বজলু ফকির (৩২)।

এর মধ্যে মহসিন ফকিরের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে অল্প একটু মাংস ঝুলে রয়েছে। এছাড়া তার ডান হাঁটুতে কোপের ক্ষত রয়েছে। মজনু ফকিরের মাথা ও মুখে ধারাল অস্ত্রের কোপ রয়েছে এবং বজলু ফকিরের হাতে ও কাঁধে কোপ রয়েছে।

আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহসিন ফকির ও মজনু ফকিরকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন। অপর এক ভাইকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফরিদপুর পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আলাউল হোসেন বলেন, গুচ্ছগ্রামে দুটি পরিবার পাশাপাশি বসবাস করে। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই। মোহসিনদের সঙ্গে তার খালাতো ভাই মিজান মল্লিক ও আবুল মল্লিকের গত ১০ বছর ধরে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সালিস বিচার হলেও কোনো সমাধান হয়নি।


এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সীমানার একটি গাছের সজনে পাড়া নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে মিজান মল্লিক ও তার ভাই আবুল মল্লিক, তাদের বাবা ইসমাইল মল্লিক এবং পরিবারের কয়েক জন নারী সদস্য বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ভাইকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রতন সাহা বলেন, আহতদের হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মহসিনের হাতের কবজির রগ সব কেটে গিয়ে শুধু মাংস ঝুলে রয়েছে। এ অবস্থায় তার হাতটি জোড়া দেওয়া সম্ভব হয় কিনা বিধায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মজনু ফকিরের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। তাকেও ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।


এডিএস/

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ