• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকায় অসহায়দের ইফতার

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩, ১১:২৩ পিএম

শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকায় অসহায়দের ইফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় রমজান মাসজুড়ে এক টাকায় ইফতার বিতরণ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশ। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ব্যস্ততম মাওনা চৌরাস্তায় অসহায়, দরিদ্র, পথচারী ও দিনমজুরদের মাঝে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে সংগঠনটি।

আয়োজকরা জানান, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলবে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন। এক টাকার ইফতারে মিলছে একজনের খাবার উপযোগী মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও খেজুর। এছাড়া প্রতি শনিবার বিরিয়ানি ও ভুনা খিচুড়ি দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সভাপতি তাওসিফুল ইসলাম রিয়াদ জানান, মাওনা চৌরাস্তা খুব জনবহুল। আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কাজে এখানে আসায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষের আনাগোনাও বেশি থাকে। তাদের অনেকেরই সামর্থ্য থাকে না টাকা দিয়ে মুখরোচক ইফতার কিনে খাওয়ার। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে পুরো রমজান মাস মাত্র এক টাকায় ইফতার সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জনের ইফতার সামগ্রী নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা আসর নামাজের পরপরই বিতরণ শুরু করে দেন।

dhakapost

ইফতারের টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বলেন, সংগঠনে সদস্য রয়েছে ৩০ জন। আমরা সবাই ছাত্র। রমজান আসার কয়েক মাস আগেই আমরা সভা করে পরিবার থেকে পাওয়া স্কুলের টিফিন ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করি। সেখান থেকেই এ ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আমাদের সব সদস্যই খুব আন্তরিকভাবে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়া বছরজুড়ে অসহায় মানুষদের সহযোগিতা ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে থাকেন ইয়ুথ স্কয়ার বাংলাদেশের সদস্যরা।

সংগঠনটির সদস্য তৌসিনুল ইসলাম তাজিম জানান, যারা এখান থেকে ইফতার নেন তারা অনেকেই বিনামূল্যে ইফতার নিতে চান না। অনেকে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। তারা যাতে অস্বস্তিতে না পড়েন তাই শুভেচ্ছা মূল্য হিসেবে আমরা এক টাকা নির্ধারণ করেছি। এতে যারা ইফতার নিবেন তারা এই টাকার বিনিময়ে অনেকটাই স্বস্তি বোধ করবেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা এক টাকায় ইফতার বিতরণ করছি। এতে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি, অনেকেই আসছেন, ইফতার নিচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমাদের বরাদ্দ করা ইফতার শেষ হয়ে যায়।

 

 

বিএস/

আর্কাইভ