• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এমপির শ্যালককে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০২:১৯ এএম

এমপির শ্যালককে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ছিলেন চরতী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী। তাকেসহ মোট নয় আসামিকে বাদ দিয়ে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা দেয় সাতকানিয়া থানা পুলিশ। কিন্তু বাদীপক্ষের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি। একইসঙ্গে মামলাটি পুনরায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দেন। চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরি সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিনের শ্যালক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর জাকের হোসাইন মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাদীপক্ষের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নে কৃষকদের জমিতে বালু রাখার জন্য পাইপ স্থাপন করা হচ্ছিল। কৃষকেরা এ কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল মালেক সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এস এস ড্রেজার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড উত্তর চরতীর তুলাতুলি কেশুয়ারচর সেনেরচর ঘাটসংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। উত্তোলন করা বালু রুহুল্লাহর সহযোগিতায় কৃষকের জমিতে রাখা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কৃষকেরা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে এ জন্য জমিতে বালু রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু রুহুল্লার সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কৃষকের জমির ওপর বালু রাখার চেষ্টা করে।

এজাহারে মামলার বাদী রুহুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায় এমপির শ্যালকসহ ৯ জনের নাম। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র। তারা হলেন- মাঈনুদ্দিন হাসান (২২), মোহাম্মদ মোহায়মেনুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম (২৪), মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), মো. শাহিন আলম (২৩), মো. জয়নুল ইসলাম (৩১) ও মো. জহিরুল ইসলাম (২৩)।

এছাড়া অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিতে আবেদন করা ৯ জন হলেন মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৪২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুন্না (২৮), দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডাকাত দেলু (৩৫), আজিজুর রহমান ওরফে সাদেক (৪৬), কায়ছার উদ্দিন (২১), মো. শামাউন চৌধুরী (৫৮), সৈয়দ নূর (৫০), মো. সেলিম (৩৭) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (৩০)।

আর্কাইভ