• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সড়কে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি যেন মরণফাঁদ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম

সড়কে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি যেন মরণফাঁদ

ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে শতাধিক বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে। শহর উন্নয়নে সড়ক প্রশস্ত হলেও এসব খুঁটি অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে যানবাহনসহ চলাচলে পথচারীরা রয়েছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে। এ ছাড়া ওই বিদ্যুৎ খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নেত্রকোনা পৌর শহরকে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বর্তমানে শহরে প্রায় ১২ কিলোমিটার ৩৩ কেবি লাইন রয়েছে। এ ছাড়া বাড়তি ৭৫ কিলোমিটার অংশে ১১ কেবি লাইন ও ১১ /০.৪ লাইন থেকে টেনে নেয়া লাইনের সংখ্যা রয়েছে ১৪০ কিলোমিটার। মোট ৯টি ফিডারে প্রায় ৪৯ হাজারের মতো গ্রাহক রয়েছে জেলা শহরে। সর্বমোট ৩ হাজার ৬৬০টি বিদ্যুতের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হচ্ছে; যার মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ওপর প্রায় ১০৫টি খুঁটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেতর ২১টি খুঁটি সড়কের ওপরে এবং প্রায় মাঝখানে।

তার মধ্যে নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে সাতপাই লেভেল ক্রসিং, পারলা ঢাকা বাস টার্মিনাল থেকে মোক্তারপাড়া সেতু এলাকা, মোক্তারপাড়া এমপি গলি থেকে শুরু করে তেরিবাজার পর্যন্ত। ডিসি বাংলো রোড থেকে মালনী রোড মোড় হয়ে অজহর রোডে অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন এলাকা, জয়নগর হাসপাতাল রোড, তেরিবাজার মোড় থেকে রাজুরবাজার, বড় বাজার কাপড়পট্টি, ছোটবাজার, কুড়পাড়সহ বেশকটি এলাকায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে খুঁটিগুলো না সরিয়েই প্রতিটি সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়। এখন খুঁটিগুলো প্রায় সড়কে মাঝখানে; অনেক খুঁটি হেলেও আছে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ অবস্থায় শহরের বড়বাজার এলাকায় বেশির  ভাগ খুঁটি। ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। পথচারীরাও চলাচল করছে বিপদ মাথায় নিয়েই।

নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান জানান, সড়কের কাজ করার সময় ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর কথা বললেও নানা কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের দেখা না পাওয়াকেই দায়ী করছেন তিনি। সেই সঙ্গে এখনো সহযোগিতা করে সরানোর উদ্যোগের কথা জানান ওই পৌর মেয়র।

জেলা বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাহমুদ এলাহি বলেন, এখন সড়ক ভেঙে কাজ করাটা খুব কঠিন। এগুলো সড়ক করার আগেই করা উচিত ছিল। তারপরও আমরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ লাইনগুলো সরাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

২১ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নেত্রকোনা শহরে মোট ৯টি ফিডারের আওতায় ১৮১টি ট্রান্সফরমার কাজ করছে। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের সাইজ ১০০ কেভিএ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫০ কেভিএ।

আর্কাইভ