প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ‘আখাউড়া-লাকসাম’ অংশে ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির কারণে প্রায় আড়াই বছর বন্ধ ছিল এ রেলপথ নির্মাণের কাজ। সমস্যার সমাধান করে চলতি বছরের মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা অংশের কাজ আবারও শুরু হয়।
শুরুর পর থেকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ‘আখাউড়া-লাকসাম’ অংশে ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ। এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
এর আগে ২০২০ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা অংশে ডুয়েলগেজ রেলপথ, কসবা রেলওয়ে স্টেশন ও সালাদা রেল সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
এ ঘটনার পর প্রায় আড়াই বছর পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দফায়-দফায় বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়। ফলে চলতি বছরের ১২ মার্চ পুনরায় শুরু হয় প্রকল্পের কসবা অংশের নির্মাণকাজ।
বিজিবি-উত্তর-পূর্ব রিজিয়নের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর দপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, কাজটি বন্ধ হওয়ার পর বিজিবির বিওপি থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে এটি সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, পুরো প্রকল্পের অন্তত ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়েই। সংশ্লিষ্ট অংশে নির্মাণকাজ শেষ হলে ডবললাইনে রূপান্তর হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ।
লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বলেন, এ অংশের কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্রেনের যাত্রার সময় কমে আসবে কমপক্ষে এক ঘন্টা। আর এখন যে পরিমাণ ট্রেন চলছে, কাজ শেষ হলে এর তিনগুণ বেশি ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান বলেন, এ রেল লাইনটি আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে একটি মাইলফলক হবে।
এদিকে রেললাইনের জটিলতা কাটিয়ে আবারও পুরোদমে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। তারা জানান, এ কাজটি দ্রুত শেষ হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
আখাউড়া-লাকসাম লাইনে মোট ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্প থেকে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএল/