প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৪:৪৬ এএম
র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন বাহিনীটির ১১ জন সদস্য। র্যাব সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ জন্য র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে তাদের বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।
র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেসমিনকে আটকের অভিযানটি চালিয়েছিল র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল। এই অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১ জনকে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনাটি র্যাব সদর দপ্তর তদন্ত করছে। তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানছেন। তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহী আনা হয়েছে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘জেসমিনকে আটকের অভিযানে র্যাবের যে ১১ জন সদস্য ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে রাজশাহীতে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ওই ১১ সদস্য স্বপদে বহাল আছেন কিনা- জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ‘অবশ্যই আছেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাবেন তারা।’
তাহলে এই ১১ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়নি?- এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ক্লোজড নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। তারা র্যাব সদর দপ্তর থেকে রাজশাহীতে যাওয়া তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করছেন।’
স্থানীয় সরকারের রাজশাহীর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী জেসমিনকে আটক করে র্যাবের একটি দল। সেদিনই তাকে প্রথমে নওগাঁয় এবং পরে রাজশাহীতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ মার্চ র্যাবের হেফাজতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন মারা যান। র্যাবের হেফাজতে ওই নারীর মৃত্যু হলে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে পরিবার। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন।
এ প্রেক্ষাপটে জেসমিনের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে র্যাব সদর দপ্তর। তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে।