ছবিঃ সিটি নিউজ ঢাকা
ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সিএনজি চালককে আব্দুল হাকিমকে (৩৫) জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত (১২ মার্চ) রোববার বিকেলে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এর মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিম (২৭),পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের রেজিয়াগো বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের অজি উল্যাহ পাটোয়ারী বাড়ির শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগর বাড়ির আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাহফুজের বাপের বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের দোকান বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭), পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মলনে জানায়, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে ভিকটিম নিহত সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমের সঙ্গে পূর্ব শক্রতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। পরিকল্পনাকারী পূর্ব শক্রতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজির মালিক মহিমকে ব্যবহার করা হয়। ঘটনার দিন রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করে। মহিম ভিকটিম আব্দুল হাকিমকে সিএনজি রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।
তিনি আরও জানায়, এরপর হাকিম মহিমকে সিএনজি জমা দেওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী অজ্ঞাত নামা আরও ৪-৫জন মিলে আকস্মিক ভিকটিমের মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে সকল আসামিরা ভিকটিমকে উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পিছনের ডগির ভিতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে জবাই করে। গ্রেফতারকৃত রিপু ও অপর আরেক আসামি মরদেহ গোপন করার জন্য শাবল, কোদাল ও বস্তা নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সকল আসামি মিলে মৃত্যু নিশ্চিতের পর ভিকটিমের মরদেহ বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ড সংগঠনের জন্য আসামি মহিনমের সঙ্গে ৪ লক্ষ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
তিনি জানান, আসামি রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সাজেদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
-20230313092715.jpg)
-20230313055213.jpg)
-20230313053333.jpg)
