• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

ট্রেনের নিচে পড়েও শিশুটি অক্ষত

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩, ১১:১৪ পিএম

ট্রেনের নিচে পড়েও শিশুটি অক্ষত

ছবি: সংগৃহীত

সিটি নিউজ ডেস্ক

রেললাইনে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন আশরাফুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, প্রথম দেখে মনে হয়েছিল, শিশুটি আর বেঁচে নেই। তবে কোলে নিতেই সে কেঁদে ওঠে। পরে আশরাফুল জানতে পারেন, দেড় বছর বয়সী শিশুটির মা ট্রেনচাপায় মারা গেছেন। তবে শিশুটি ট্রেনের নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেছে।
ট্রেনের চালক বলছেন, তিনি শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীকে রেললাইনে শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন। সে সময় ট্রেনটি থামানো অসম্ভব ছিল। বারবার তিনি হুইসেল বাজিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে আত্মহত্যার জন্য রেললাইনে শুয়েছিলেন বলে ধারণা তাঁর।ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কোনো ঝগড়ার জেরে তিনি সন্তান নিয়ে হয়তো আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার পশ্চিম হিংগুলী এলাকার রেললাইনে শিশুটিকে প্রথম দেখেন ৩১ বছরের আশরাফুল ভূঁইয়া। আশরাফুল শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানান চিকিৎসক। এক্স-রে করা হলে তাতেও বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।


আশরাফুল ভূঁইয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি প্রথম দেখে ভেবেছিলাম, বাচ্চাটি মারা গেছে। কোলে নেওয়ার পর কান্না করে। শুধু কপালের এক জায়গায় একটু লাল হয়ে ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া এই বাচ্চাটির বেঁচে থাকার কথা নয়। ট্রেনের শব্দে বা ভয়ে বাচ্চাটি হয়তো অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল, তা না হলে যদি দাঁড়াত বা নড়াচাড়া করত, তাহলে সব শেষ হয়ে যেত।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, তিনি যেখানে থাকেন আর ঘটনা যেখানে ঘটেছে, এর মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনা ঘটার পরেই সেখানে যান। ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী বা বাবা কোনো অভিযোগ করেননি। তাই অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আর শিশুটিকে তার নানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।


আরিয়ানএস/

আর্কাইভ