প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে তুলে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় এতে করে অনেক কৃষকের স্বপ্নের ফসলি জমিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার ফলে জমিগুলোতে উর্বরতা না থাকায় আবাদ হয় না। এই সুযোগে ফসলি জমির ক্ষতি করে উপর স্তরের মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অর্থলোভী মাটি ব্যবসায়ী। এতে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হচ্ছে,অপর দিকে দিনদিন পরিবেশের মধ্যে পড়ছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের,গোলগাঁও,খিলগাঁও,লাহারপুর,সিক্কা,কালাপুর ইউনিয়নের,লামুয়া,দক্ষীন কালাপুর,শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের,পশ্চিম শ্রীমঙ্গল(লালবাগ আ/এ),পশ্চিম ভাড়াউড়া,রুপসপুর(চিড়িয়াখানা রোড),ইসলামাবাদ,উত্তর উত্তরসুর,এসব এলাকায় সকাল থেকে রাত পযন্ত মাটির বহন কারী ট্রাক্টর চলে। অবৈধভাবে বালু ও মাঠি উত্তোলন ও ব্যবসা করে আসছে প্রভাবশালী মহল।
প্রতিদিন ১০-১২টি ট্রাক্টর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় গ্রামের রাস্তা ধূলাতে সয়লাব হয়ে পড়ছে। মাটি কেটে নেওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ধূলা-বালির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। এদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় একের পর এক দূর্ঘটনা। অবৈধ এসব যানবাহনের উৎপাতে অতিষ্ঠ স্কুলগামী কমলমতি শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। ট্রাক্টরের ড্রাইভারদের কোনো লাইসেন্সে নাই।কিন্তু বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এর কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এই যানের অবাধ চলাচল দেখেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলায় সর্বত্র।অবৈধ এ যান চলাচলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটও।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি,জরিমানা ও গাড়ি আটক করেছি । আজকে ও আমরা অভিযানে রয়েছি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
সাজেদ/