• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
সাভরের

আশুলিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেফতার-৩

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩, ১১:৩০ পিএম

আশুলিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেফতার-৩

ছবিঃ সিটি নিউজ ঢাকা

কামরুল হাসান রুবেল, সাভার প্রতিনিধি

সাভরের আশুলিয়ায় নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তানভীর (০৮) নামের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে দুই কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে গ্রেপ্তার আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গেল রাতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- মোঃ আনোয়ার হোসেন (২০), মোঃ সাকিব হোসেন (২৬), মোঃ তামজিদ আহমেদ রাফি (১৪)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি। তবে তারা সবাই নিহতের পরিবারের পূর্ব পরিচিত এবং একই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। 

নিহত শিশু তানভীর কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার সোলাইমানের ছেলে। সোলাইমান আশুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে বাবা মায়ের সাথে মসজিদের কোয়ার্টারেই থাকত তানভীর।

র‌্যাব জানায়, আনোয়ারের পরিবারের কাছে নিহতের বাবা সালাউদ্দিন ধারের ২০ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকার জন্য সালাউদ্দিন আনোয়ারের পরিবারকে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার ও তার দুই সহযোগী কিশোর ৭ মার্চ শবে বরাতের নামাজ শেষে তানভীরকে অপহরণ করে। পরে তাকে আছড়ে আহত করার পর ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে টঙ্গাবাড়ির শ্রীখন্ডিয়া এলাকার নির্জন স্থানে ফেলে দেয়। লাশ গুম করতে ৮ মার্চ ভোরে তানভীরের মরদেহ বস্তায় ভরে সবজির গাড়িতে করে টঙ্গাবাড়ি এলাকার রাস্তার পাশের ময়লার ড্রেনে ফেলে দেয়। গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার সড়কের পাশের ময়লার ড্রেন থেকে তানভীরের নিথর দেহ উদ্ধার করে র‌্যাব। মরদেহ উদ্ধারের পর পরই অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

নিহতের বাবা সোলাইমান বলেন, আমার ছেলের আনোয়ারের সাথে কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু সে আহলে হাদীসের অনুসারী। মাঝে মধ্যে ছোট শিশুদের আহলে হাদীসে ধাবিত করার চেষ্টা করেন। এব্যাপারে আমি বাধা দিতাম। আমার মনে হয় একারনে সে আমার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করে। এছাড়া তাদের সাথে আমার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। তাদের কাছে আমি ২০ হাজার টাকা পেতাম। এই টাকা তারা পরিশোধ করতে না পারলে না করতো, তাই বলে আমার অবুঝ শিশুকে মেরে ফেললো। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

সিপিসি-২, র‌্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভবিষ্যতেও শিশু অপহরণকারী চক্র এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

সাজেদ/


 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ