• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় আটক ১৪

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩, ০৩:২৩ এএম

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় আটক ১৪

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

১৪ জন জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির অভিযোগে। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলের গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভেতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত আটটি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে আটটি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন এবং সে অনুসারে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ অসহায় জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ সি এফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এ সব ক্যামেরা নিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আর্কাইভ