প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩, ১১:২৪ পিএম
-20230307112441.jpg)
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও জেলাজুড়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যাও বাড়ছে। ইতোমধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, পঞ্চগড়ে পুলিশ-মুসল্লিদের সংঘর্ষ এবং গুজব ছড়িয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন থানায় করা এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি কয়েক হাজার। তবে পুলিশের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
এদিকে পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার (৩ মার্চ) আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়। জুমআর নামাজের পর আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী জলসা বন্ধসহ তাদের ‘অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে’ জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে পুলিশের ওপর হামলা করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে মুসল্লিরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুরসহ ট্রাফিক পুলিশের অফিসেও অগ্নিসংযোগ করে। অন্যদিকে এ ঘটনায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের একজন ও মুসল্লিদের মধ্যে একজন নিহত হন। পরে ওই দিন রাত ৯টার দিকে জলসা স্থগিত ঘোষণা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা জানান, এ ঘটনায় পৃথক ১০টি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আসামি গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য, বিভিন্ন স্টিল ছবি যাচাই-বাছাই করে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
