• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

‘এখন আঁর বইনোরে কী হইয়ুম দে’

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ০২:৩০ এএম

‘এখন আঁর বইনোরে কী হইয়ুম দে’

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ‘ওবা (ও বাবা), কিল্লাই ফালাই গেলাগোই, ক্যানে গেলা গই? আঁরারে রাখি কিল্লাই গ্যালা? এখন আঁর বইনোরে কী হইয়ুম দে? কী জবাব দিইয়ুম যে?’

শনিবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বারান্দায় বাবার মৃত্যুর শোকে এভাবেই বিলাপ করছিলেন মরিয়ম আক্তার (৩০)। তার বাবা ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।

নিহত শামসুল আলম (৫০) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা। তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজন মেয়ে।

মরিয়মের স্বামী মো. নাছির জানান, ‘শামসুল আলম ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনার সময় বিস্ফোরণস্থল সীমা অক্সিজেন প্ল্যাট থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণে তীব্রতায় একটি ধাতব টুকরো উড়ে গিয়ে পড়ে তার মাথার ওপর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগার সংবাদে ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ৪৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতদের অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদৎ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ছয়জন নিহতের সংবাদ পেয়েছি। তাদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আছে। বাকিদের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

আর্কাইভ