ছবি: সংগৃহীত
সিটি নিউজ ডেস্ক
ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণ করা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা সেতুর গোলচত্তর এলাকায় ভাসখালা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ শতাধিক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সজিব, রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনকে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলচত্তর এলাকায় কয়েকজন তরুণ-তরুণী টিকটকের জন্য ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় তাদের বাঁধা দেন ভাসখালা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। তখন মুক্তিরগাঁও গ্রামের মামুনের সঙ্গে ভাসখালা গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে সেতুর সংযোগ সড়ক ফেলে দেওয়া হয়। প্রায় ২৫ ফুট নিচে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের সময় ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় গোলচত্তর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান, একটি পিকআপ ভ্যান, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের প্রায় এক হাজার থেকে ১২শ লোক জড়িয়ে পড়েন।
আরিয়ানএস/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন