প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্য বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী রেখে চিকিৎসকরা কেক কাটায় ব্যস্ত এই নিয়ে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে।
গত বুধবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর স্বজন ও জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে এই হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শহরের দরগাপাড়া মহল্লার নাজমুল হুদার স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম ১০টি প্রেসারের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসারের কক্ষে কেক কাটছিলেন। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা ডাকতে গেলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আহত নারীর স্বামী নাজমুল হুদা জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার স্ত্রী ১০টি প্রেসারের ওষুধ খেয়ে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। এ সময় গিয়ে দেখি রুমের দরজা লাগিয়ে কয়েকজন ডাক্তার কেট কাটছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মো. মোশফিকুর জানান, ‘বুধবার দুপুরে রোগী না দেখা ও স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। রোগী আসা মাত্রই সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ জানান, বুধবার দুপুরে কেক কাটার ঘটনার সময় সেবা নিতে আসা ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এটি তেমন কিছু নয়। উভয়পক্ষকে ডেকে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান করা হয়েছে। এ ছাড়া রোগীকে সঠিকভাবে চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।