প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
ফৌজদারি অপরাধের মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে চাকরিতে হাজিরা দিলেও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমান ও দুজন শিক্ষক।
স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকরা হলেন- কাকিনাহাট মোস্তাফিয়া কামিল মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান নজরুল মুন্সি ও বিএসসি শিক্ষক আশরাফুল মিয়া।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী মৃত আজিতুল্ল্যার ছেলে উজির মামুদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানের। তার জের ধরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্থানীয় মোখলেছুর রহমানের দোকানের পাশে উজির মামুদকে একা পেয়ে দলবল নিয়ে মারধর শুরু করেন জিয়াউর রহমান। খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে উজির মামুদের চাচা আফজাল, চাচি সবজা বেগম, ভাই শাহাজাহান, ভাগ্নি জ্যোতি বেগমসহ তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করেন জিয়াউর রহমান ও তার লোকজন। এতে উজির মামুদসহ তার পরিবারের ৭/৮ জন গুরুতর আহত হন।
কাকিনাহাট মোস্তাফিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সায়েদার রহমান বলেন, মামলা হলেও তারা নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন প্রতিষ্ঠানে। মামলার নথি আমাকে পাঠানো হয়নি। নথি পেলে বিধিমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অজয় কুমার বলেন, স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানের নামে ফৌজদারি আইনে মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি কর্মস্থলেই রয়েছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা সরকারি চাকরি করে তা জানা ছিল না। এখন স্ব স্ব কর্মস্থলে মামলার নথি পাঠানো হবে। একই সঙ্গে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টাও করা হচ্ছে।
সাজেদ/