• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম

জয়পুরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমান রেল জাদুঘর প্রদর্শনী

ছবিঃ সিটি নিউজ ঢাকা

মাহফুজ রহমান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর প্রদর্শনী চলছে। জাতির পিতার শৈশব-কৈশোর ও কর্মময় জীবনের ধারাবাহিক ১২টি পর্ব নিয়ে রেলওয়ের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় সাজানো হয়েছে এ জাদুঘর।

বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাঁথা জানতে এই জাদুঘরে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। জাদুঘরটি সোমবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে উত্তরা ট্রেনের সাথে বিরামপুর স্টেশন থেকে জয়পুরহাট স্টেশনে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন রেল জাদুঘরটি প্রদর্শনের জন্য স্টেশনের তিন নম্বর লাইনে থাকবে। এরই মধ্যে রেল জাদুঘরটি মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের।

এই জাদুঘরে ১২টি গ্যালারির মাধ্যমে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিব নগর সরকার, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের নানা ইতিহাস। জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, দলের প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় তামাক পাইপ, মুজিব কোট, বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল, কমলাপুরের ৭১ এর বিজয়স্তম্ভ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার, মুজিব শতবর্ষের লোগো, বঙ্গবন্ধুর লেখা বই, মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভ, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের ছবি। ছবির পাশাপাশি ভিডিও চিত্রেও প্রদর্শীত হচ্ছে নানা বিষয়। অডিও সিস্টেমে সস্প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ তাঁর জীবনী।

এই জাদুঘর দেখতে আসা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শয়ন কুণ্ডু বলেন, ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর অনেক সুন্দর। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এখানে রয়েছে। আমরা বইয়ে পড়লেও এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি।

দুই ছেলেকে নিয়ে সেখানে এসেছিলেন মীনা নাজনীন। তিনি বলেন, ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছেলেদের নিয়ে রেল জাদুঘর পুরোটা ঘুরে ঘুরে দেখেছি।

রেল জাদুঘরের দায়িত্বে থাকা আমজাদ হোসেন বলেন, এটি গোপালগঞ্জ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। এখন দেশের বিভিন্ন স্টেশনে কয়েকদিন করে রাখা হচ্ছে। জয়পুরহাট স্টেশনে দুইদিন থাকবে। এটি শিক্ষার্থী ও সর্বসাধারনের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ