প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৩:১২ এএম
স্বামীর সাথে নানা বিষয়ে ঝগড়া হওয়ার কারনে তোফাজজলের সাথে পরকীয়া সর্ম্পেক জড়িয়ে যায় দুই সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার মহুয়া।
সম্পর্ক শুরু হবার পর থেকে তার সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটা সময় স্বামী জেনে গেলে তাকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলে। এরপর গত শনিবার ঐ নারী যশোরে থেকে বিয়ে করবে বলে প্রেমিক তোফাজ্জলের মাগুরা বাড়িতে আসে।
তোফাজ্জল তাকে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আসলে বিয়ে করবে বলে জানান। তার কথা মত শনিবার বিকালে লটারি পাবলিকের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তোফাজ্জলের বাড়িতে ফিরে গেলে বিয়ে না করতে তালবাহানা শুরু করেছে।
বিয়ের কথা বলে আগের স্বামীকে তালাক,এরপর প্রেমিকের পলায়ন।
তিনদিন ধরে দুই সন্তানের জননীর বিয়ের জন্য প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান।
এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই তোফাজ্জল হোসেন ওরফে শহর আলী। এখন প্রেমিককে বিয়ে করতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে ভুক্তভোগী ঐ নারী। পুলিশের সহায়তা পেতে ফোন করেছেন ৯৯৯।
যশোর থেকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে গত শনিবার এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন দুই সন্তানের এক জননী। ঐ নারী বর্তমান স্বামীকে তালাক দিলে কথিত প্রেমিক তাকে বিয়ে করবে এই আশ্বাসে তালাক ও করে ঐ নারী। তালাক শেষে প্রেমিক পালিয়েছে বলে ছেলের বাড়িতেই বিয়ে করবে বলে অবস্থান নিয়েছে ভুক্তভোগী নারী।
বিয়ের আশ্বাসে তালাক দিয়েছেন বলে ঐ নারী এখন প্রেমিকের বাড়িতে অসহায় হয়ে বসে আছেন। এখন সে আগের স্বামীর কাছেও ফেরত যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায়।কথিত প্রেমিকেরর নাম তোফাজ্জল হোসেন ওরফে শহর আলী। তোফাজ্জেল হোসেন ওই গ্রামের জোবান বিশ্বাসের ছেলে। তোফাজ্জেল ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করছেন। ছেলের বাড়িতে গত শনিবার থেকে অবস্থান করছেন এই নারী।
ওই নারী নিজের নিরাপত্তা দিতে ফোন করেছেন জরুরী নাম্বার ৯৯৯ এ । শনিবার থেকে ঐ নারী দিনে ও রাতে রয়েছেন পুলিশ ও আনসার পাহাড়ায়। তবে ছেলের মা বলছে এ বিয়ে তারা কোনভাবেই দিতে চান না।
চার বছর ধরে সম্পর্ক হয় প্রেমিক তোফাজজলের সাথে। স্বামীর সাথে নানা বিষয়ে ঝগড়া হওয়ার কারনে তোফাজজলের সাথে পরকীয়া সর্ম্পেক জড়িয়ে যায় এই নারী। তিনি জানান, সম্পর্কের শুরু হবার পর থেকে তার সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটা সময় স্বামী জেনে গেলে তাকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলে। এরপর তোফাজ্জলের সাথে নানা জায়গায় ঘুরতেও যায় সে। গত শনিবার ঐ নারী যশোরে থেকে বিয়ে করবে বলে প্রেমিক তোফাজ্জলেরর বাড়ি আসে।
বিয়ের আগে তোফাজ্জল তাকে আগের স্বামীকে তালাক দিতে বলে। নোটারী পাবলিকে তালাক দেয়ার পর বাড়িতে আসে উভয়পক্ষ। কিন্তু এরপর ছেলে পালিয়ে যায়।
তবে ছেলের পরিবারে মা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় নি। ছেলের মা জানান,তার বড় বড় সন্তান রয়েছে। এরপরও আমার ছেলে বোকা। তাকে পটিয়ে এই মহিলা অমার বাড়িতে বউ হতে চায়। এটা মেনে নেয়া যায় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলছেন বিয়ের প্রলোভনে আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছে মেয়েটা। এখন তো বিয়ে করা উচিত তোফাজ্জলের। স্থানীয়রাও সেটা বলছেন। কিন্তৃ প্রেমিকের মা রাজি নয়।
এলাকাবাসী চাই যেহেতু মেয়েটার সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং ওই ছেলের কথায় তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে সে কারণে তাদের বিয়ে হোক।
শ্রীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মোঃ জাব্বারুল ইসলাম বলেন,৯৯৯ ফোন দিলে আমরা বিষয়টি দেখছি। ঐ মহিলা বিয়ের দাবি করছে। পুলিশ তো আর বিয়ে দিতে পারে না। এলাকার কোন সালিশ সে মানছে না। পুরিশ আছে সেখানে। থানায় মামলা দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সাজেদ/