ছবি: সংগৃহীত
সিটি নিউজ ডেস্ক
রোববার (২৬ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ ৬৭টি পরিবারের ২৪২ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজাস্থ শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অবশেষে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় আশ্রয়রত সকল রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ ৬৭টি পরিবারের ২৪২ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজাস্থ শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, সর্বশেষ ২৪২ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পর অস্থায়ীভাবে অবস্থান নেওয়া সকল রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজটি শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে তুমব্রু এলাকায় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বসতিগুলোও অপসারণ করা হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। মোট ৭ দফায় ওখান থেকে ৫৩০ পরিবারের ২ হাজার ৫২৭ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে তাদেরকে।
গত ১৮ জানুয়ারি মিয়ানমারের দুই স্বশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর মধ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে এসব রোহিঙ্গা তুমব্রু স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থা নিয়েছিলেন। সংঘর্ষে এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত ও শিশুসহ দুইজন আহত হন। একইদিন বিকেলে সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিলে পুড়ে যায় সেখানে অবস্থারত রোহিঙ্গাদের শেড ও ঘরবাড়ি।
ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া চার হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমার ভূখণ্ডে পালিয়ে যায়। এছাড়া, কয়েক লাখ রোহিঙ্গা কোণারপাড়ার ছোট খাল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, তাঁবু ফেলে বসবাস শুরু করে তুমব্রু এলাকায়। এর একদিন পর মিয়ানমার থেকে রওনা হওয়া রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং তুমব্রু এলাকায় ভিড় জমায়।
আরিয়ানএস/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন