প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০২:১১ এএম
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (ওয়ার্ড বয়) চিকিৎসা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে চিকিৎসা নিতে এসে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে ফিরছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের পাকাপোল এলাকার রিয়াজের চার বছরের ছেলে রাফির হাতের আঙুল কেটে গেলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক দায়িত্বে থাকলেও হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেক রোগী রাফির কেটে যাওয়া হাতে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দেন।
রিয়াজ বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম দেখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমার ছেলের কাছেও যাননি। ওয়ার্ড বয় তারেকের কোনো চিকিৎসার দক্ষতা না থাকলেও সে সেলাই এবং ব্যান্ডেজ করেছে। এখন আমরা আতঙ্কে আছি কেটে যাওয়া স্থানে কোনো ইনফেকশন হয় কিনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রেজোয়ানুর আলম বলেন, চাহিদার অনুকূলে পরিপূর্ণ লোকবল আমাদের নেই। জরুরি বিভাগের অস্থায়ী কর্মচারী তারেক রোগীর চিকিৎসা দিয়ে কাজটি ঠিক করেননি। এটির নিয়মও নেই। বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, সোমবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের কারণে আমরা ব্যস্ত থাকায় অনাকাঙিক্ষত ঘটনাটি ঘটেছে। এবার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা সতর্ক হয়ে যাব।
ডা. রেজোয়ানুর আলম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদা রয়েছে ২০ জন চিকিৎসকের। রয়েছেন ১০ জন। তার মধ্যে ৩ জন স্পেশালিস্ট। এজন্য ৭ জনকে নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করতে হয়। এছাড়া ৪০ জন নার্সের চাহিদার অনুকূলে ৩০ জন রয়েছেন।