প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ০৮:১৬ পিএম
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সাত জেলায় চলছে
কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার
যাত্রীবাহী বাস। লকডাউন বাস্তবায়নে
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট
নৌরুটে ক্ষেত্রবিশেষে ফেরি চালু থাকলেও
লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল
বন্ধ রয়েছে। আর এ সুযোগে
ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে যাত্রী পার
করা হচ্ছে।
সরেজমিনে
পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট
ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার
বাস ও গণপরিবহন বন্ধ
থাকায় লোকজন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি
চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন
ছোট যানবাহনে করে ঘাট এলাকায়
আসছেন। ভেঙে ভেঙে ঘাটে
আসতে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এমনকি নদী পার হতেও
অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে
তাদের।
এ
দিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো ফেরি
ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে না।
দু-তিন ঘণ্টা পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।
এ সময় ঘাটে আসা
যাত্রী এবং ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকেও
অপেক্ষায় থাকতে হয়। দীর্ঘসময় অপেক্ষায়
থাকতে হয়; এজন্য বিকল্প
হিসেবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার
হচ্ছেন শত শত যাত্রী।
বেশির ভাগ যাত্রীর মুখেই
নেই মাস্ক। উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্বও।
মোটরসাইকেল
যোগে আশুলিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে
এসেছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি সিটি নিউজকে
বলেন, ‘আমার ছোট বোন
অসুস্থ। তাই রাজবাড়ী যাব।
লঞ্চ, ফেরি বন্ধ। তাই
বাধ্য হয়ে ট্রলারে করে
পদ্মা পার হচ্ছি।’
প্রশাসনের
চোখ ফাঁকি দিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া
ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া
নেয়া হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা
পর্যন্ত।
এ
বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) টার্মিনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট হারুনার রশিদ বলেন, ‘ফেরির
পন্টুনে না ভিড়তে ট্রলারগুলোকে
বলা হয়েছে। এরপরও সুযোগ পেলেই তারা যাত্রী তোলে।
আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
বিআইডব্লিউটিসির
আরিচা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন,
‘ট্রলারে যাত্রী পারাপারের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এমনকি এমন দৃশ্য আমার
চোখেও পড়েনি। লঞ্চ বন্ধ থাকলে
সুযোগ বুঝে কিছু যাত্রী
পার করতে পারে তারা।
এমনটি নজরে এলে অবশ্যই
বন্ধ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিসির
আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জানান, স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া
ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ২০টি ফেরি চলে।
বর্তমানে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী
যানবাহন পারাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি চালু রয়েছে।
ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী পারাপারের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তার
জানা নেই বলে জানান
তিনি।
শিবালয়
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু দারদা বলেন,
‘ট্রলারে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রলারকে
জরিমানাও করা হয়েছে। এরপরও
প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণির
অসাধু ট্রলার মালিক যাত্রী পারাপার করছে।’
মামুন/এম. জামান