প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৫:১১ পিএম
একটি প্যাথলজি ল্যাবের ফ্রিজে মিলেছে মিষ্টির প্যাকেট। যেখানে রি-এজেন্ট, ওষুধ, ইনজেকশনসহ অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকার কথা সেই ল্যাবের ফ্রিজে রাখা মিষ্টি। প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রেও রয়েছে গরমিল।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের নিউ চৌধুরী প্যাথলজি ল্যাবে এমন অনিয়ম পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করাসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে তিন ফার্মাসিকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বাংলাবাজার ও চৌরাস্তায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দুই কক্ষ ভাড়া নিয়ে জাভেদ হোসেন নিউ চৌধুরী প্যাথলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। যেটার নেই কোনো টেকনিশিয়ান বা প্যাথলজিস্ট। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ত্রুটিপূর্ণ মেশিনে মালিক জাভেদ হোসেন নিজেই করাচ্ছেন ইসিজি, এক্সরে, ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট। রেফ্রিজিরেটরের মধ্যে রি-এজেন্টের সঙ্গে পাওয়া গেল মিষ্টির প্যাকেট। এসবের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রির দায়ে ৩ ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ল্যাবের ফ্রিজে মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া যায়। ডিগ্রী না থেকেও মালিক নিজেই সকল টেস্ট করাচ্ছেন। তাই প্রতাষ্ঠানকে পুরো সিলগালাসহ জরিমানা করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রি করায় তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।