• ঢাকা শনিবার
    ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

কারমাইকেল কলেজ হোস্টেলে বহিরাগতদের হামলা-ভাংচুর; শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম

কারমাইকেল কলেজ হোস্টেলে বহিরাগতদের হামলা-ভাংচুর; শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রংপুর ব্যুরো

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে হামলা ও ভাংচুর করেছে বহিরাগতরা। কলেজ ক্যাম্পাসের হলে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিএল হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায় ,শনিবার দুপুরে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের বাংলামঞ্চের সামনে মার্কেটিং বিভাগের ১ম বর্ষের আহসান নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগত এক মাদকাসক্ত টোকাই’র  সঙ্গে  চলার পথে  ধাক্কা লাগা নিয়ে  কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বহিরাগতদের একটি গ্রুপ ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে। পরে খবর জানতে পেরে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে বহিরাগতদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে  যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে  ৪০-৫০ জন বহিরাগত ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে জিএল হোস্টেল এ হামলা চালায়। 

এ সময় তাঁরা কয়েকটি রুমে ভাংচুরও করে। এ ঘটনায় হল মনিটর আকিমুল ইসলাম ইমনসহ প্রায় ১০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং আকিমুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, ক্যাম্পাসে দ্রুত পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনসহ কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অধ্যক্ষকে জিএল হোস্টেলে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

আহত শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেলে দেখতে এসে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। বহিরাগতরা এভাবে ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। হামলাকারী বহিরাগতদের গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যে কোনো কর্মসূচিতে পাশে থাকবে ছাত্রলীগ।

কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ক্যাম্পাসে আমার শিক্ষার্থী নয় আমার সন্তানদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা কলেজ কতৃপক্ষ বাদী হয়ে তাদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করবো। এবং শিক্ষার্থীদের যে, পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি সেটিও আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করবো। 
রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল কাদের বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কলেজ কতৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
 

আর্কাইভ