• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

৮ জেলেকে কুপিয়ে জখম, একজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

৮ জেলেকে কুপিয়ে জখম, একজন গুলিবিদ্ধ

বরগুনা প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই ভাই নামে বরগুনার একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের হামলা থেকে বাঁচতে ট্রলারের ১৮ জেলের মধ্যে ৯ জেলে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়াও অপর ৯ জেলের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ও ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ও নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- কাইউম জোমাদ্দার (৩৫), ইয়াছিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), শফিকুল মাঝি (৩৫), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫), ফরিদ (৩৮), আবদুল হাই (৪০)। এছাড়া নিখোঁজ অপর এক জেলের নাম জানা যায়নি।
আহত জেলেরা হলেন- মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রায়হান, আ. করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক। আহতদের মধ্যে খোকন, মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।


আহত জেলেদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এফবি ভাই ভাই ট্রলার লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ছোঁড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে ট্রলারটি ধাওয়া করে ট্রলারে উঠে জেলেদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হামলা থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে ৯ জেলে নিখোঁজ হয়।
তিনি বলেন, আহত জেলেদের প্রত্যেককেই কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার আ. ছালাম বলেন, ট্রলার ডাকাতি ও জেলে নিখোঁজের খবর আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।


এনএমএম/এএল

আর্কাইভ