দেশজুড়ে ডেস্ক
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) থেকে জেলা প্রশাসন দুই উপজেলায় বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ হওয়ায় উচ্চ সংক্রমণরোধে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।
বুধবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টায় ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা করোনাভাইরাস কমিটির এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সালমান এফ রহমান। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আলী নুর, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সিভিল সার্জন ঢাকা ডা. আবু হেনা মো. মঈনুল আহসান, ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলাগুলোতে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে :
১। দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নৌ ও স্থলপথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
২। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালের বাইরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করলে সেখানে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
৩। সবার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
৪। বিভিন্নস্থানে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। খাবারের দোকান হোটেল রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে।
৬। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
৭। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে।
৮। অপ্রয়োজনীয় যানচলাচল সীমিত করতে হবে।
৯। প্রচারের জন্য মাইকিং করতে হবে।
শামীম/সবুজ/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন