• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, শিক্ষকদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। শিক্ষকদের আস্থা ও ভরসার স্থল তিনি। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। 
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শিক্ষকরা মর্যাদা পাননি। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে শিক্ষকদের মর্যাদার ক্ষেত্রে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ৩৭ হাজার এবং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সমাজসহ দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যাব। তিনি বলেন, ৪০ বছর পর ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোনো সরকারই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরণে তিনি সচেষ্ট থাকবেন।


তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিনামূল্যে বই বিতরণ, মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ যা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের ১৩ গুণ বেশি, শিক্ষক নিয়োগ ও মর্যাদা বৃদ্ধি, নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা, দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড, কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। শরীয়তপুরে শেখ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। নড়িয়া-সখিপুরের সকল ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। স্কুলের নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সীমানাপ্রাচীর হয়েছে, শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। 
নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামান, পৌরসভার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ মো. ইকবাল।

 

 

 

এনএমএম/

আর্কাইভ