প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় স্থানীয় সময় আজ সোমবার একটি ৭.৮-মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এখনো পযর্ন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি। ভূমিকম্পটি আঘাত হানে যখন সবাই ঘুমে ছিল। এটি এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, সাইপ্রাস এবং মিশর দ্বীপের মতো দূর থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়।
এএফপি তুরস্কের জরুরী পরিষেবা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে, তবে েএই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যাই রেখেছেন। আহতের সংখ্যাও শতাধিক।
এ ছাড়া সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশে ও তুর্কিপন্থী দলগুলোর দখলে থাকা উত্তরাঞ্চলে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং একটি স্থানীয় হাসপাতাল এই তথ্য জানিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন।
ভূমিকম্পে উভয় দেশেই অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনের ভেতরে আরো অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারেন। ফলে প্রাণহানি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ সকালে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে পুরো তুরস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার ৪টা ১৭ মিনিটে হওয়া এই ভূমিকম্পের কম্পন দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের সব অঞ্চলে অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতিতে জানায়, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮, দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়।
গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহর ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহরও এটি।