• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাত-পা ভেঙে দিলেন সহকর্মীরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৩:১০ এএম

ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাত-পা ভেঙে দিলেন সহকর্মীরা

দেশজুড়ে ডেস্ক

যশোর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে জাকির হোসেন (২৮) নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত জাকির হোসেন বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত জাকির হোসেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মৃত সুরুজ জামানের ছেলে।

হাসপাতালে ভর্তি জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী হাসান লিয়ন, শামীম হাসান, আকাশ, আব্দুর রহমান তানিমসহ কয়েকজন ছাত্রাবাসের ১০৪ নম্বর কক্ষে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা বসান, সারারাত চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। ওই রুমের পাশেই আমার রুম। এ কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত হয়। প্রতিবাদ করলে গত মঙ্গলবার রাতে তারা রুমে ঢুকে হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে মারধর করেন। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেরে আমার হাত-পা ভেঙে দেন। একপর্যায়ে ঘর থেকে নগদ টাকা, মানিব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় তারা।

আহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাইকে ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য যশোর মেডিকেলে ভর্তি করেছিলাম। এখন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দুই পা ও এক হাত হকিস্টিক দিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাকিরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধরের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সঠিক বিচার কামনা করছি।

এই বিষয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি জাকিরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। জাকিরের হাত-পা ভেঙে গেছে। বুকের হাড়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহিদুর রহমান বলেন, অনেকেই পড়াশোনা শেষ হলেও ছাত্রাবাসে রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের নামিয়ে দিতে পারি না। এই বিষয়ে অনেকটাই চাপে থাকে কলেজ প্রশাসন।

এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও সহকারী হোস্টেল সুপার ডা. হিমাদ্রি শেখর সরকার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ইতোমধ্যে আহত ইন্টার্ন চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার বলেন, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর্কাইভ