প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:৪১ এএম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোসল করতে পানিতে নেমে একটি শিল্প-কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপের পানির তোড়ে ভেসে যায় দুই মাদ্রাসাছাত্র। তাদের মধ্যে একজন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হয় আরেকজন। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের নাম শিহাব হাসান (১১)। সে হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০)। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
ওই দুই ছাত্রের সহপাঠীরা জানায়, নদীর এ জায়গাটি তাদের মাদ্রাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। আজ জুমার দিন হওয়ায় ফুটবল খেলা শেষ করে সকাল ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল শিহাব ও আব্দুল্লাহ আল তামিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন বলেন, শিশু দুইটি যখন গোসল করতে পানিতে নামে তিনিসহ আরও কয়েকজন তার অদূরে নদীর পাড়ে বসেছিলেন। তারা যেখানে গোসল করতে নেমেছে সেখানে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ ছিল। কোম্পানিটিতে ব্যবহার করা পানি এ পাইপের মাধ্যমে মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাইপের মুখে পানিপ্রবাহের বেগ অনেক বেশি।
তারা গোসল করতে নামার কিছুক্ষণ পর এক শিশু দৌড়ে এসে তাকে জানায়- নদীতে গোসল করতে নামা দুই শিশু পাইপের মুখের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত পানিতে নেমে এক শিশুকে উদ্ধার করলেও আরেকজনকে খুঁজে পাননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।