প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম
তীরে এসে তরি ডুবেছে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
উপনির্বাচনের মোট ১১২টি কেন্দ্রে একতারা প্রতীকে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। অন্যদিকে বিজয়ী প্রার্থী মহাজোটের রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে নানা কথা বলার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে আবারও হিরো আলম এক ভিডিও বার্তা দিলেন।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা সবাই দেখেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাশেদা সুলতানা (নির্বাচন কমিশনার) আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু হিরো আলম না প্রতিটি প্রার্থীই পরাজয়ের পর বলে ভোট সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, নন্দীগ্রামে হিরো আলমের কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার কথা নাকি সব ভিত্তিহীন।’
এরপর হিরো আলম তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনারা হিরো আলমের একতারা আর তানসেনের মশালের মাঝে গণভোট দেন তো দেখি। জনগণ ভোট দিয়েছে নাকি দেয়নি, ফলাফল কারচুপি হয়েছে নাকি হয়নি সেটাও আমি দেখাব। প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা দেবেন। তারপর দেখেন হিরো আলম আর মশাল মার্কার মাঝে কে জেতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মশাল মার্কার এত জনপ্রিয়তা তাহলে আপনারা গণভোট দেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। নির্বাচনের নাম মুখেও আনব না শুধু আপনারা প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে গণভোট দিয়ে দেখেন। তখন দেখা যাবে কার কত জনপ্রিয়তা। আমি দেশবাসীর সামনে বলতে গণভোট চাই।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সর্বমোট প্রার্থী নয়জন। সেখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।