• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

বগুড়া-৪ আসন থেকে নিশ্চিত এমপি হচ্ছি: হিরো আলম

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম

বগুড়া-৪ আসন থেকে নিশ্চিত এমপি হচ্ছি: হিরো আলম

দেশজুড়ে ডেস্ক

বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে লড়াই করছেন অভিনেতা ও প্রযোজক হিরো আলম। আসন দুটি হলো- বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর)। বুধবার নিজের ভোট দেওয়ার পর সারাদিন দুটি আসনে ঘোরাঘুরি করে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে বিকালে হিরো আলমের বক্তব্য, ‘বগুড়া-৪ আসন থেকে নিশ্চিত এমপি হচ্ছি।’

ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল এই তারকা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সদরের (বগুড়-৬ আসন) কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ। তয় কাহালু-নন্দীগামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেকচি। ভোট খুব সুষ্ঠু হচ্চে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’

হিরো আলমের বাড়ি বগুড়া সদরের এরুলিয়া পলিপাড়া গ্রামে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-৬ আসনের সদর উপজেলার এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে তিনি ভোট দেন।

এরপর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বগুড়া-৬ আসনে আগেই গোলযোগের আশঙ্কা করেছিলাম, সেটাই সত্যি হয়েছে। আমার নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। এভাবে সুষ্ঠু ভোট হলে এই আসনে আমিই বিজয়ী হব।’

বুধবার দেশের মোট ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। তার মধ্যে বগুড়ার দুটি। দুটি আসনেই প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। প্রথমে তিনি সিংহ প্রতীক চেয়েছিলেন। তবে তাকে দেওয়া হয়েছে একতারা প্রতীক। এছাড়া তার প্রার্থিতাও বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে তা ফিরে পান।

এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। সে বার তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পেয়েছিলেন সিংহ প্রতীক। সে বারও তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল ইসি। পরে একইভাবে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পান।

যদিও নির্বাচন জিততে পারেননি হিরো আলম। বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে। পাশাপাশি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও হয়েছিলেন। তবে এবার যেকোনো একটি আসন থেকে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হিরো আলম। তার দাবি, এবার তার কর্মী-সমর্থক গত নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি।

আর্কাইভ