প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০২:৫৬ এএম
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা মাথায় আসে নিহত কামরুলের চাচা সাইফুলের।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ জানুয়ারী রাতে কামরুলকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানে সাইফুল ও তার সহযোগী একই উপজেলার দিদার আলী এবং নজিবুল হক মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটান।
সোমবার (৩০জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস.এম. সিরাজুল হুদা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাতিজাকে হত্যা করতে দিদার আলী এবং নজিবুল হককে ভাড়া করেন সাইফুল। পরে সেখানে তাকে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যান হত্যাকারীরা।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী সোমবার নিহত কামরুল নিখোঁজ হন। দুইদিন ধরে কামরুলের খোঁজ না পেয়ে তার ছোট ভাই কাবুল হেসেন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
পরে ওই দিনই বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/২৫ জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরদিন ঘটনার সাথে জড়িত দিদার আলী নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
পরে পার্শ্ববর্তি জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে মামলার সাথে জড়িত নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাজেদ/