প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম
বিদেশি মদের আমদানি কমায় মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনিকল কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। অনুমোদিত বারগুলোতে দেশি মদের সংকট মোকাবিলায় কেরুর মদের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।
মদ উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ায় চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাস অর্থাৎ জুলাই-২২ থেকে ডিসেম্বর-২২ এর হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-২১ থেকে ডিসেম্বর-২১ পর্যন্ত আয় হয়েছিল ১৯২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এবার আগের বছরের তুলনায় ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে। শতকরা হিসেবে তুলনা করলে আগের বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১২ মাসে মোট মদ বিক্রি হয়েছিল ৩৬৭ কোটি টাকার। চলতি অর্থবছর শেষে এবারো সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ার প্রত্যাশা করছে কেরু কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ১৩টি ওয়ারহাউস ও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র আছে। যার মাধ্যমে ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্রান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাকাও, জারিনা ভদকা, রোসা রামে ও ওল্ড রাম নামের এই নয় জাতের মদ বাজারজাত করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।
এ ছাড়া আরও দুটি নতুন বিক্রয়কেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছে। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর কেরুর ২০২২-২৩ চলতি আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়। এ মৌসুমে ৫৩ কার্যদিবস মিল চালু রাখার লক্ষ্য রয়েছে। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, দেশি বাজারে কেরুর মদের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন।
এ চাহিদা মেটাতে কেরুর দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন করা হলে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। এ ছাড়া মদের পাশাপাশি কেরুর বিয়ার তৈরির চিন্তা রয়েছে সরকারের।
এএল/