• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৫ বছর পর অধ্যক্ষের ‘স্ত্রীর মর্যাদা’ চাইতে এলেন নারী!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম

২৫ বছর পর অধ্যক্ষের ‘স্ত্রীর মর্যাদা’ চাইতে এলেন নারী!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিয়ে করেছেন, সংসারও করছেন। কিন্তু বুধবার (২৫ জানুয়ারি) অফিস চলাকালীন তার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসেন এক নারী। জানান, ১৯৯৮ সালে তাকে বিয়ে করেছিলেন ফারুক!

কিন্তু অধ্যক্ষের দাবি, নিজেকে তার ‘স্ত্রী’ বলে দাবি করা নারী তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসেছেন।

৪২ বছর বয়সী ওই নারী ‘স্ত্রীর মর্যাদা’ পেতে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। লক্ষ্মীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেই তিনি অধ্যক্ষের রুমে যেতে চান। এ সময় প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষকরা তাকে বাধা দেন। এক পর্যায়ে শিক্ষকদের চাপে স্বজনদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান ওই নারী।

ভুক্তভোগীর দাবি, বিএল কলেজে লেখাপড়া করার সময় তাদের বাড়িতে লজিং থাকতেন ফারুক হোসেন। তিনি ওই কলেজের ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৮ সালের ১০ মে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। নিজের কাছে ওই বিয়ে রেজিস্ট্রিকৃত কাবিনও আছে বলে তিনি জানান।

স্ত্রী মর্যাদা চাইতে আসা নারী আরও বলেন, ফারুক তাকে পরে বাড়িতে তুলে নেবেন বলে বাবার বাড়িতে রেখেই সংসার করছিলেন। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ফারুক। দীর্ঘদিন পর তিনি জানতে পারেন, তার ‘স্বামী’ আরেকটি বিয়ে করেছেন। যে কারণেই তিনি স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মর্যাদা চাইতে ফারুকের কর্মস্থলে এসেছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্র জীবনে আমি তাদের বাড়িতে থাকতাম, এ কথা সত্য। যিনি এসেছেন তিনি তখন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। আমি পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিই। এছাড়া পারিবারিকভাবে ১৯৯১ সালে আমি বিয়ে করি। যাকে বিয়ে করেছি তিনি বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।

ফারুকের দাবি, ওই নারী কোনো কু-মতলবে তাকে স্বামী বলে দাবি করছেন। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই ঘটনাটি ঘটানো হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এ ছাড়া লক্ষ্মীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের কোনো শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো কথা বলেননি।

লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মশিউর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে কিছু বলেনি। আমি কিছু জানি না।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি গণমাধ্যম থেকে জেনেছেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

আর্কাইভ