প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০২:১৪ এএম
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কচুরগুল গ্রাম থেকে প্রেমের টানে চাচী (ভাসুরের ছেলে) কেনিজ আক্তার জুমি নামে এক গৃহবধূ কে নিয়ে পালিয়ে গেছে ভাতিজা। কয়েকদিন থেকে তারা উধাও হলেও ২৫ জানুয়ারি ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত ফরমুজ আলীর সৌদি প্রবাসী পূএ আসকর আলীর (৪০) এর সাথে একই গ্রামের মৃত সফিক উদ্দিনের মেয়ে কেনিজ আক্তার জুমি (৩০) এর সাথে ১৫ পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসকর আলী আবারও প্রবাসে চলে যান। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। বিয়ের পর আসকর পাঁচবার প্রবাস থেকে দেশে আসেন। দাম্পত্য জীবনে আসকরের ৭ বছরের আবদুল্লাহ নামে একটি পূএ সন্তানের জন্ম নেয়।
আসকর সর্বশেষ ২০২২ সালে দেশে আসেন। দুই মাস অবস্থান করার পর আবারো প্রবাসে চলে যান। আসকর প্রবাসে চলে যাওয়ার সুযোগে তারই আপন বড় ভাই আসিক আলীর পুত্র রাহিন (২২) আসকেরের ঘরে যাওয়া আসা করতে থাকে। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে রাহিনের কু-দৃষ্টি পড়ে চাচী কেনিজের উপর। রাহিন চাচী কেনিজ আক্তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়। এর পর থেকে চলতে থাকে রাহিন ও কেনিজের গোপন অভিসার।
এক সময় রাহিন ও কেনিজ বেপরুয়া চলা ফেরা শুরু করে। কেনিজের ঘরে রাহিনের ঘন ঘন আসা যাওয়ার বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি আত্মীয়-স্বজনরা। তারা রাহিন ও কেনিজ আক্তারকে এ পথ থেকে সরে আসার জন্য সতর্ক করেন। এক পর্যায়ে তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি এলাকায় চাউর হয়ে যায়। তখন রাহিন ও কেনিজ পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সুযোগ বুঝে কেনিজ আক্তার পুএ আব্দুল্লাহকে সাথে নিয়ে পিত্রালয়ে বেড়ানোর কথা বলে নগদ ১৫ লাখ টাকা, চার ভরি স্বর্ণালংকারসহ মোট ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে গেছেন বলেন জানিয়েছেন স্বামী।
সৌদি আরব থেকে মুঠো ফোনে, কেনিজের স্বামী আসকর আলী জানান, কেনিজ আক্তার আমার কষ্টের জমানো টাকা পয়সা ও সোনা গহনাসহ সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে ফেরত চাই বলে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন সোমবার আসকর আলীর ভাই হারিছ আলী বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার এসআই মো. ফরহাদ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।