প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম
নড়াইলের ইয়াসিন মোল্লাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে হোসাইন মোল্লা নামে তারই সম্পর্কের ভাগনে ও হাসিব খান নামে তার এক বন্ধু। ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ভাগনে ও বন্ধু আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ আসামিদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে সোপর্দ করলে সেখানে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সোমবার পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৬ জানুয়ারি ইয়াসিন নিখোঁজের ৬ দিন পর রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের ঈদগাহ পার্শ্ববর্তী নির্জন বিলের ধার থেকে খেজুরের পাতার স্তূপ দিয়ে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ইয়াসিন মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ এবং ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন ইয়াসিনের একমাত্র বোনের ননদের ছেলে একই উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হোসাইন মোল্লা ও হোসাইনের বন্ধু হাসিব খানকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, ১৬ জানুয়ারি রাতে ইয়াছিন তার ভাগনে হোসাইনের ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে হোসাইন ও তার বন্ধু হাসিব তাকে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে সেখানে আগে থেকে স্তূপ করা খেজুর পাতার নিচে মরদেহ লুকিয়ে রেখে ইয়াসিনের মোটরসাইকেল নিয়ে যশোরে গিয়ে পরদিন বিক্রি করে দেয়।
পুলিশ দুজনের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও পর্যায়ক্রমে চারবার বিক্রির পর হাতবদল হওয়া মোটরসাইকেলটি যশোর থেকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে চোরাই গাড়ি কেনাবেচায় জড়িত থাকার দায়ে চারজনকে আটক করা হয়।
এনএমএম/এএল