• ঢাকা শনিবার
    ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

বরগুনায় ৩ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:০০ পিএম

বরগুনায় ৩ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

বরগুনা প্রতিনিধি

সঠিক পরিচর্যা ও সংস্কারের অভাবে বরগুনার ৩ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এসব স্কুলে পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। তবে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় এলজিইডি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনার ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্কুলের কার্যক্রম। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কমেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শুধু এই স্কুল নয়, জেলার তিন শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা এমনই। ভবনগুলোর বেহাল দশায় চিন্তিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
আলী আহমেদ নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ে। ওই স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিকল্প না থাকায় পরিত্যক্ত ভবনেই পাঠদান করা হচ্ছে। এতে ছেলেমেয়েদের স্কুলের পাঠিয়ে আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি।’
বরগুনার ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাকিব বলেন, ‘আমাদের স্কুল ভবনের একটি দরজা জানালাও ভালো নেই। পলেস্তারা খসে পড়েছে পুরো ভবনের। তারপরও নিরুপায় হয়ে এই ভবনেই পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দরজা জানালা না থাকায় প্রতি রাতে বিদ্যালয়ের মধ্যে নিয়মিত মাদকসেবন করেন মাদকসেবীরা। এরই মধ্যে স্কুলের প্রায় সব চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ চুরি হয়ে গেছে। এই ভবনটি সংস্কারের অবস্থাও নেই।’
মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোনিয়া আহমেদ বলেন, ‘আশপাশের স্কুলের তুলনায় আমাদের ভবনটি জীর্ণশীর্ণ। অনেকদিন হলো ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ এখনও নেয়া হয়নি। জীর্ণশীর্ণ ভবনের ফলে আমার স্কুলে দিন দিন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতির অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক। তবে স্কুল ভবনগুলোর সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় এলজিইডি।
এলজিইডির বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বরগুনার জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের প্রকৌশল অধিদফতর। এরইমধ্যেই ১৬ স্কুল পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আরও আটটি স্কুলের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি স্কুলগুলোর উন্নয়নে দরপত্র আহ্বান করা হবে।’


প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, জেলায় ৭৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে পাঠদান অনুপযোগী স্কুলের সংখ্যা ৩২৪টি।

 

 

এনএমএম/

আর্কাইভ