• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চুরির অপবাদে দুই শিশুর মাথা ন্যাড়া, গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১২:০৮ এএম

চুরির অপবাদে দুই শিশুর মাথা ন্যাড়া, গাছে বেঁধে নির্যাতন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় শিকল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হলদিয়া পালাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রুমখাঁ ক্লাসপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটে। তবে ঘটনার দুই দিন পর রোববার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি সামনে আনেন নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর অভিভাবক।

নির্যাতনের শিকার শিশুরা হলো- উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রুমখাঁ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও সাজ্জাদ হোসেন (৯) ও একই এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে রাকিব (১০)।

সাজ্জাদ হোসেনের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে স্থানীয় রুমখাঁ বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রতিবেশী ছৈয়দ আলমের ছেলে রাকিবের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা  রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে খেলার মাঠে খেলতে যায়। এসময় ওই আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে শিকল না পেয়ে তার ছেলে ও রাকিবকে চোর সন্দেহ করে ধরে নিয়ে যায়। পরে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলেসহ কয়েকজন তাদের মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়।

তিনি আরও বলেন,বাড়িতে এলে আমার ছেলের পিঠে মারধরের অনেকগুলো দাগ দেখতে পেয়ে কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি জানায় সাজ্জাদ। তাদের আটকে রাখার বিষয়টি জেনে আমার স্ত্রী ওই বাড়িতে গেলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার গর্ভবতী স্ত্রী আহত হয়। পরে তাকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।

সাজ্জাদের মা বলেন, পুরো এলাকায় খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তার ভাই ও মাসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে আমাকে বের করে দেয়। ওরা আমার ছেলেকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। বর্তমানে এলাকায় সবাই চোর বলে অপবাদ দিচ্ছে। এতে আমার ছেলে স্কুলেও যেতে পারছে না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত হলদিয়া পালং ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চুরির ঘটনায় তাদের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছি। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সাজ্জাদের বাবা রফিকুল ইসলাম।

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু বলেন, ঘটনা সত্য হলে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ