• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মাগুরায়

চোর সন্দেহে স্কুল ছাত্রকে মধ্যযুগি কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ১২:৪০ এএম

চোর সন্দেহে স্কুল ছাত্রকে মধ্যযুগি কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

ছবিঃ সংগৃহীত

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রকে মধ্যযুগি কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছেন। শুক্রবার জেলার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লা ১২ কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সজীব ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে। সে ওই গ্রামের চান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনাই প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।

সজিবের বাবা কোহিনুর মোল্লা জানান, জুম্মার নামাজ পড়তে সজীব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এ সময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে । তারা তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে পায়ে পেরেক পুতে ও হাতুড়ি দিয়ে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতন করে। এ সময় শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত সজীবের চাচা জয়নুর জানান, কয়েকদিন আগে ছান্দাড়া চৌরাস্তার পাশে হাসানের মুদি দোকানে চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে আমার ভাতিজা সজীবকে তারা আটক করে নির্যাতন চালিয়। তার পায়ের একাধিক স্থানে লোহার পেরাগ ঢুকানো হয়। পাশাপাশি হাতুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পাশাপাশি তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা জানান, সজিবের আঘাত গুরুতর, তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শালিখা থানার অফিসার্স ইন চার্জ (ওসি) মোঃ বিশারুল ইসলাম জানান, চুরি সন্দেহে সজীব নামের ওই ছেলেটিকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শালিখা থানা ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তির করা হয়েছিল। আহত ছেলেটি এখন সুস্থ্য আছে বলে আমি খবর নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তাদের কে বারবার বলা হয়েছে অভিযোগ দিতে। তারা যদি অভিযোগ না দেয় তবে পুলিশ বাদি হয়ে অভিযোগকালীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দেবে বলে আমরা প্রস্ততি নিয়েছি। এরপর পুলিশ হেফাজতে থাকা শিশুকে নিযাতনে অভিযুক্ত হাসানকে আমরা কোর্টে চালান দিতে চাই।


সাজেদ/

আর্কাইভ