প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মঞ্জু (১৭) নামের এক কিশোরকে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রুবেল আলী (৩৩)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের এক অভিযানিক দল।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রাম থেকে পলাতক আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
গ্রেফতারকৃত রুবেল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাদশা আলীর ছেলে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফালা দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে হত্যা করে আসামিরা। ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে নিহতের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুর বাবা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের আব্দুল মতলেব আলী ছেলে আব্দুল্লাহ, বাদশা আলীর ছেলে রুবেল, মৃত মকছেদ আলীর ছেলে কাশেম, মৃত ফকির চাঁদের ছেলে রুহুল আমিন, আফসার আলীর ছেলে নজরুল ও ফরিদ। রুহুল আমিন পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রুবেল পলাতক ছিলেন। পলাতক রুবেলকে অভিযান চালিয়ে র্যাব গ্রেফতার করেছেন। এ মামলার ২৯ জন আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজেদ/