• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মালেশিয়ার কন্টেইনারে পাওয়া কিশোরের পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ১০:১৪ পিএম

মালেশিয়ার কন্টেইনারে পাওয়া কিশোরের পরিচয় মিলেছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি

গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মালেশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে শারিরীক প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি সংবাদে রোহিঙ্গা শিশু ধারণা বলা হয়।

তবে অবশেষে মিলেছে কিশোরের পরিচয় ৷ সেই কুমিল্লা জেলা মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া এলাকার দিনমজুর ফারুক মিয়া ছেলে রাতুল (১৫)।  জানা যায়, সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া। স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দিনমজুর ফারুকের ৩ ছেলে। রাতুল সবার বড়। আর্থিকভাবে ফারুক অনেকটাই দুর্বল, যার ফলে আর্থিক সংকটের কারণে ছেলে নিখোঁজ হবার পরও থানায় জিডি করতে পারেনি সে। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকম দিন যাচ্ছে তার পরিবারের।

তবে, কখন কিভাবে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া গেল রাতুল, জানে না তার পরিবার। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। জাহাজটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে যাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি কনটেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে অবহিত করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।

রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া জানান, ২ মাস ৭ দিন আগে শুক্রবার দুপুরের পরে বাসা থেকে বের হয় রাতুল। তারপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না রাতুলকে। অসুস্থ সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের। সন্তানকে খুঁজে পেতে বাবা মা সব আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ-খবর নেয় কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মিলে না রাতুলের। দুই মাস ধরে খোঁজ না পেয়ে অনেকটাই আশার প্রদীপ নিভে গিয়েছিল পরিবারটির।

রাতুলের মা রোকেয়া বেগম  জানান, আমি আমার সন্তানের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আপনারা যেইভাবে পারেন আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে দেন। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি যেন সরকার আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেয়।

সে দিন থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর মধ্যে রাতুলকে ফিরে পেতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের দাবি যেন সরকার রাতুলকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়।

রাতুল বর্তমানে মালেশিয়ার একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাহাজটি ১২ জানুয়ারি মালেশিয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যায়।


 

 

এএল/

আর্কাইভ