• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছেলের স্ট্যাটাসের ৮ দিন পর বাবাকে হত্যা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:২৮ এএম

ছেলের স্ট্যাটাসের ৮ দিন পর বাবাকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের নুরুল আমিনকে (৬০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আমিন উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে।

নিহতের ভাই শাহ জালাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাবার সম্পত্তির ভাগ না দেওয়া নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো ভাইদের মধ্যে। একাধিকবার বিচার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। আজ সকাল ৮টার দিকে নুরুল আমিনের ভাই শাহ পরান বাড়িতে নতুন ঘরের পালা লাগাতে গেলে বাধা দেন নুরুল হক (৭০), শাহ আলম (৫০), শাহজাহান (৫৫) ও তাদের ছেলে-মেয়েরা। এ সময় নুরুল আমিন বলেন, ‘তাদের জায়গায় তাদের বাড়ি করতে দাও। ঝাগড়া করে লাভ কি!’

তিনি আরও জানান, এনিয়ে ও পূর্ব সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে নুরুল হক, শাহ আলম, শাহজাহান ও তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলে লাঠি ও হাত দিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন নুরুল আমিনকে। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাধা দিলেও থামাতে পারেনি। পরে পরিবার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার আটদিন আগে নুরুল আমিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম তয়ন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কিছু হলে আমার তিন চাচা দায়ী (১) নুরুল হক (২) শাহ আলম (৩) শাহ জাহান,, এই পোস্টটি প্রশাসনের ও এলাকাবাসী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

নিহতের চাচাতো ভাই হাসিম মিয়া (৬৫) জানান, সকালে ঝগড়া করার সময় নিষেধ করে আমি চলে আসি। পরে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি নুরুল আমিন মাঠিতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের সম্পর্কে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমার চোখের সামনে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে হত্যা করেছে নুরুল হক (৭০), শাহ আলম (৫০), শাহজাহান (৫৫) ও তাদের ছেলেরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখত কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি।

আর্কাইভ