প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৩:৩৬ এএম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কিছু ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। তুমব্রু সীমান্তে এখনো আতঙ্ক কাটেনি।
বুধবার বিকালে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর দুইপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ঘটেছে। এতে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যান্য দিনের তুলনায় উখিয়ার বালুখালী টিভি টাওয়ার, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস সংলগ্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেশি ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৫৩০টি ঘর ছিল। সেখানে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।
তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা দিল হোসেন বলেন, হঠাৎ একদল মুখোশধারী এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর ছেলেমেয়ে নিয়ে পালিয়ে আসি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গার ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিজিবি-৩৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।