প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০১:৫৩ এএম
মানুষ মানুষের জন্য,চিরন্তন সত্য হলেও কিন্তু এর মর্মবাণী ধারণ করেন খুব কম সংখ্যক মানুষই। মানবিক মানুষের কার্যক্রমে এগিয়ে যেতে পারে সমাজ, গ্রাম কিংবা অঞ্চল। কিন্তু মানুষের কর্মব্যস্ততা, অর্থের প্রতি অতিরিক্ত লৌহ মনোভাব মানবিক কর্মকান্ড থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
তারপরও সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন দিনমজুর কৃষকের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী অন্তর হাজং।
মানবিক অন্তর হাজং এর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের খুজিগড়া গ্রামে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় অন্তর হাজং গরীব অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামের অসহায়, দুঃস্থ মানুষ ও অসুস্থ রোগী আর্থিক সমস্যায় পরলে ছুটে আসেন তিনি। সাধ্যমত বাড়িয়ে দেন সহযোগীতার হাত। ২০১৪ সাল থেকে দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় মানবিক কার্যক্রম।
এরপর একটি এনজিওতে কাজ করে উপার্জিত অর্থ থেকে একের পর এক মানবিক কাজ করে আসছেন। যার মধ্যে দুর্গাপুর, ধোবাউড়া উপজেলায় গরীব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়তা, ফরম পূরণ, বস্ত্র বিতরণ, মাদক বিরোধী কর্মশালা, বাল্য বিবাহ বন্ধে সচেতনতা, নারী উন্নয়ন সেমিনার, মহামারী করোনা কালে গৃহবন্ধী মানুষের খাদ্য সহায়তা, যুব সমাজকে মোবাইল আসক্তি থেকে নিরুৎসাহিত করতে পাঠাগার স্থাপন ইত্যাদি।
এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে ভারতীয় বন্য হাতির তান্ডব ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ান অন্তর হাজং। বর্তমানে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথুবু অবস্থায় সাইকেলে ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন শীতবস্ত্র। এসব সামাজিক ও মানবিক কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছে এলাকাবাসীদের কাছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা অন্তর হাজং এর কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয়ে অন্যরা এগিয়ে আসুক।
মানবিক কার্যক্রমের বিষয়ে অন্তর হাজং বলেন, মানবসেবার মাধ্যমে আমি আত্মতৃপ্তি পাই। যার জন্য আমার উপার্জিত কিছু অর্থ এবং পরিচিত মানুষের সহায়তায় সীমিত আকারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারি বেসরকারি সহযোগীতা পেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
সাজেদ/